Migraine: বর্তমান দিনে মানুষের মাইগ্রেনের মতো সমস্যা দূর করতে বাদাম, জল ও ভিটামিন B2, হারবাল চা, গোলমরি, ওটস এই ছয়টি খাবার পর্যাপ্ত পরিমান খান এবং মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পান।
অনেক ব্যক্তি আছেন যারা হঠাৎ করে যে কোন সময় তীব্র মাথা ব্যথায় ভুগতে থাকেন। বিভিন্ন কারণে তাদের মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। তবে মাইগ্রেন হলো এমন এক ধরনের মাথাব্যথা যা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়। তারপর পুরো মাথায় আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণা হয়।
কোন ব্যক্তির মাইগ্রেনের সমস্যা হলে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হয়। এছাড়া মস্তিষ্কের বাইরের আবরণে যে ধমন থাকে সেগুলো মাথাব্যথার শুরুর দিকে ফুলে ওঠে। শুধু তাই নয়, মাইগ্রেনের সমস্যার ফলে মাথা ব্যাথা পরপর যত বাড়তে থাকবে তার সাথে বাড়তে থাকবে বমির ভাব এবং রোগীর দৃষ্টিশক্তিও কমতে থাকবে।
নারী পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। তবে এই সমস্যা বেশিরভাগ নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় এবং এই মাইগ্রেনে ভীষণভাবে ভুগতে হয় রোগীদের।
মাইগ্রেনের সমস্যার উৎস কোথায় জানেন?
(source of Migraine problem)
সাধারণত মাইগ্রেন একটি জিনগত রোগ। অর্থাৎ পরিবারের কারোর এই মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে অন্যান্যদেরও এই রোগের সমস্যা থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল নার্ভ উত্তেজিত হলেই মাথায় ব্যথা শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে মাইগ্রেন (Migraine) হওয়ার প্রধান কারণ হলো মস্তিষ্কের সেরেটোনিন নামক কেমিক্যাল এর ভারসাম্যের বিঘ্ন ঘটলে।
মাইগ্রেনের সমস্যা পুরুষের থেকে মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় কারণ হল হরমোনের তারতম্য নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন নামক এক প্রকার হরমোন থাকে। যার কারণেই মাইগ্রেনের প্রকোপ নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। তাই অনেক নারীর ক্ষেত্রে দেখা যায় বয়সন্ধিকালের প্রথম ঋতুস্রাবের সঙ্গেই মাইগ্রেনের (Migraine) ব্যথা শুরু হয়ে থাকে।
এছাড়া যেসব নারীর ওয়াল কন্ট্রাসেপটিভ পিলখান তাদের ক্ষেত্রেও এই মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা যায়। আবার যেসব নারীর জরায়ুতে অস্ত্রপাচার হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপির জন্য কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ও তাদের মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা যায়। তবে যে কারণেই মাইগ্রেনের (Migraine) সমস্যার সৃষ্টি হোক না কেন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত নিরাময় পাওয়া যায়। সে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
বাদাম:
বাদামে ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং এটি একটি পুষ্টিকর উপাদান। যা মাথাব্যথা কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। এই জন্য প্রতিটি ব্যক্তি উচিত কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করা।
জল:
আমরা সবাই জানি জলের অপর নাম জীবন। জল শরীরের অর্ধেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। তাই সারাদিনে 8 থেকে 10 ক্লাস জল পান করা উচিত। এটা যেমন শরীরের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে। তেমনি মাইগ্রেনের ব্যথা থেকেও আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।
ওটস:
এটি রক্তের শর্করার পরিমাণ ভীষণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে রোগী মুক্তি পেতে পারে।
হারবাল চা:
মাথা ব্যথা হলে সবাই একটু গরম চা খেতে বেশি পছন্দ করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে বলবো হারবাল চাপ খুব উপকারী। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা হলে আদা ও লেবু দিয়ে চা খেলে ব্যথার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
গোলমরিচ:
মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে নিরাময় দেওয়ার একটি অন্যতম খাবার হল গোলমরিচ। এক কাপ গরম জলে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে মাইগ্রেন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তার সঙ্গে সামান্য মধু এবং লেবু মিশিয়ে নিতে হবে। তাতে আরো ভালো কাজ পাওয়া যাবে।
ভিটামিন বি ২:
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে গেলে লক্ষ্য রাখতে হবে খাওয়ার এ যেন ভিটামিন বি ২এর পরিমাণ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এর ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা কমবে। আর এই ভিটামিন বি ২ সবথেকে বেশি পাওয়া যায় যে সব খাবারের সেগুলি হল মাছ, মাংস, ডিম, চিজ, বাদাম, দুগ্ধ জাত খাদ্য ইত্যাদি।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন